InstaForex

অ্যানালাইসিস

মার্কেট অ্যানালাইসি

প্রাইস বাড়বে কি কমবে তা জানার জন্য আপনাকে অ্যানালাইসিস করতে হবে। অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আপনি ট্রেড করার সঠিক আইডিয়া পেতে পারেন। অ্যানালাইসিস মূলত ৩ প্রকারঃ
  • ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental Analysis)
  • টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical Analysis)
  • সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস (Sentimental Analysis)
আপনি প্রশ্ন করতে পারনে কোন ধরনের অ্যানালাইসিস ভাল? কিন্তু ৩ ধরনের অ্যানালাইসিসই গুরুত্বপূর্ণ।
এটা অনেকটা তিন পা-ওয়ালা একটি টুলের মত। যদি এর কোন একটি পা ভেঙ্গে যায়, তাহলে টুলটি ভেঙ্গে যাবে এবং আপনিও মাটিতে পড়ে যাবেন। ফরেক্সের ক্ষেত্রেও আপনার কোন একটি অ্যানালাইসিস যদি দুর্বল হয়, তবে তা আপনার ব্যাপক লসের কারন হতে পারে। তাই সব ধরনের অ্যানালাইসিসই জরুরি।


ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental Analysis)

অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক ইত্তাদির ওপর ভিত্তি করে যে অ্যানালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস।
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে কোন দেশের অর্থনীতি ভাল করছে এবং কোন দেশের অর্থনীতি খারাপ দিকে যাচ্ছে। বেকারত্বের পরিমান বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ইভেন্ট কিভাবে কেন এবং কিভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখে এই সকল বিষয় গুলো ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
কোন দেশের বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভাল হয়, তবে ঐ দেশের কারেন্সি শক্তিশালী হবে। একটি দেশের অর্থনীতি যত ভাল হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারিরা তত ঐ দেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সুতরাং তাদের ঐ দেশের কারেন্সি কিনতে হবে এবং ঐ দেশের কারেন্সির ভ্যালু আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের অরথনিইতিক অবস্থা যদি আরও ভাল হত তবে আরও বিদেশি বিনিয়গকারি এই দেশে বিনিয়োগ করতে ও ব্যবসা সম্প্রসারন করতে আগ্রহী হত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের টাকার ভ্যালু অনেক বেরে জেত। অন্যান্য কারেন্সির ক্ষেত্রেও একই রকম।
এক কথা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস হলঃ 
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল = কারেন্সির ভ্যালু বেশী
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ = কারেন্সির ভ্যালু কম
ধরা যাক ইউ. এস. ডলার শক্তিশালী হচ্ছে কারন আমেরিকার অর্থনীতি আগের থেকে ভাল করছে। তাহলে তাদের মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রন করার জন্য ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
অধিক ইন্টারেস্ট রেট ডলার নির্ভর অর্থনৈতিক সম্পদগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই কেউ যদি ঐসব সম্পদ কিনতে চায় বা বিনিয়োগ করতে চায়, তবে প্রথমে তাদের ডলার কিনতে হবে। আর তার ফলেই ডলারের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।
পরবর্তীতে ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের অন্য আর্টিকেলগুলোতে আপনি জানতে পারবেন বিভিন্ন নিউজ, তাদের ইফেক্ট এবং কিভাবে সেগুলো বুঝে ট্রেড করতে হয় এই সম্পর্কে।

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, নিউজ ট্রেডিং 

ফরেক্সে প্রায় প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিউজ রিলিজ হয়। আপকামিং নিউজ গুলো বিভিন্ন ব্রোকারের Economic Calender সেকশনে পাওয়া যায়। নিউজ রিলিজ হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্টান সার্ভে করে কোন নিউজ কিরকম আসতে পারে তার একটা পূর্বাভাষ ভ্যালু (forecast) তৈরি করে। এসব প্রতিষ্টানে bloomberg, cnbc এর মত বড় বড় বিজনেজ নিউজ এজেন্সী থাকে। এই forecast ভ্যালুর চেয়ে actual খারাপ আসা মানে ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে , আর ঐ ভ্যালু থেকে ভাল করা মানে ঐ দেশের ইকোনমি ভাল করছে। নিউজ আসার সাথে সাথে প্রাইসের প্রচুর উঠানামা করবে। ফান্ডামেন্টাল থিওরী অনুযায়ী কোন দেশের ইকোনমি ভাল করছে এই খবর আসলে সাথে সাথে ঐ দেশের মুদ্রা বাড়তে থাকবে আবার ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে খবর আসলে উল্টা ঘটবে।

যারা স্কালপিং করেন তাদের জন্য নিউজ ট্রেডিং আশীর্বাদস্বরুপ কারণ নিউজ রিলিজ হওয়ার ৫-১০ মিনিটেই ৩০-৫০ পিপস মুভ হতে পারে। সেটা নির্ভর করে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ নিউজ সেটার উপরে।

বিভিন্ন ব্রোকার নিউজ রিলিজের সময় স্প্রেড বাড়িয়ে দেয় কারণ ঐ মুহূর্তে মার্কেটে volatility বেশি থাকে। তাই আপনার একাউন্ট ফিক্সড স্প্রেড না হলে স্প্রেড বেশি দেখলে অবাক হবেন না। Requotes হতে পারে যদি আপনার ব্রোকার market maker হয়। আবার মাঝে মাঝে প্লাটফর্ম হ্যাং হয়ে যেতে পারে। আবার ট্রেড ওপেন হয়ে গেলেও শো না করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি পুনরায় ট্রেড ওপেন করে ফেললে পরে দেখবেন ২টা ট্রেড। আবার বাংলাদেশের বিদ্যুতের যে অবস্থা নিউজ রিলিজে ট্রেড ওপেন করার পর যদি বিদ্যূত চলে যায় তাহলে কি করবেন সেটাও ভেবে রাখবেন। কারণ নিউজ রিলিজের পর একচুয়াল ভ্যালু যা আসে তা মাঝে মাঝে সংশোধন হয় যাকে Revise বলে। যেমন ইউএস এর jobless claims আসল প্রচুর। jobless claims প্রচুর আসা মানে আমেরিকায় চাকরি সঙ্কট প্রচুর। মানে আমেরিকার ইকোনমি খারাপ অবস্থায় আছে। আপনি eur/usd বাই দিলেন। পরে revised figure আসল যে আসলে ততটুকু খারাপ নয়। তখন মার্কেট সাথে সাথে ইউ টার্ন করবে। সেসময় আপনাকে স্ক্রিনের সামনে থাকতে হবে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে বাচা যায়। তাই নিউজ ট্রেডিংয়ে হাইয়েস্ট সতর্কতা পালন করবেন।

নিউজ ট্রেডিংয়ে স্টপ লস ব্যবহার করবেন না কারণ মার্কেট মাঝে মাঝে নিউজ রিলিজ হওয়ার পরও সামান্য বিপরীত দিকে যেতে পারে যেটা spike হয়ে ফিরে আসে। আপনি স্টপ লস দিলে ঐখানে আপনার ট্রেড লসে ক্লোজ হয়ে যাবে।

নিউজ ট্রেডিং রিয়েল একাউন্টে করার আগে ডেমো ট্রেড করে নিবেন market volatility আপনি কতটুকু ভালভাবে handle করতে পারছেন দেখবেন।

নিউজ কিভাবে বুঝবেন?

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করবো। কিন্তু কিছুই তো বুঝিনা। নিউজ দেখে এর প্রাইসের মুভমেন্ট থেকে মেন্টাল হয়ে যাচ্ছি।
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস - করলেও প্যারালাইসিস, না করলেও প্যারালাইসিস।



আমরা আপনাকে কিছু বেসিক জিনিস বোঝার জন্য সাহায্য করতে পারি।

এই স্ক্রীনশটটি দেখুনঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


প্রথমে আমরা Formula টি দেখবো।

Halifax HPI m/m এই নিউজের ক্ষেত্রে Formula হলঃ
Actual > Forecast = Good for currency

এখন আমরা জানবো Actual, Forecast এবং Previous কি?

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


এই স্ক্রীনশটে দেখুন Previous 0.2%. তারমানে হল এর আগে যখন নিউজটি পাবলিশ হয়েছিল, তখন রেসাল্ট (actual) এসেছিল 0.2%.
Forecast দিয়ে বোঝায় এবার ধারনা করা হচ্ছে যে নিউজটির রেসাল্ট 0.5% আসতে পারে। আর Actual হল এবার যে ফলাফল আসবে।
Actual এ এবার যে ফলাফল আসবে, তা পরবর্তী নিউজে Previous হিসেবে গণ্য হবে।

এখন আমরা আবার আমাদের ফরমুলায় ফিরে আসি। এখানে বলা হয়েছে, Actual > Forecast = Good for currency.
এটা GBP বিষয়ক নিউজ। তারমানে এবারের Actual এর ফলাফল Forecast (0.5%) থেকে বেশী হলে তা GBP এর জন্য ভাল।
আর যদি Actual এর ফলাফল Forecast থেকে খারাপ আসে, তবে তা GBP এর জন্য খারাপ।

এখানে এবার Actual এসেছে -1.2%. তারমানে Actual < Forecast. তারমানে Bad for currency (GBP).
সুতরাং, এখানে এই ফরমুলা কাজ করবে,

Actual > Forecast = Good for currency
Actual < Forecast = Bad for currency

এখানে, GBP এর Bad for currency আসায় GBP এর জন্য খারাপ নিউজ। তাই GBP এর পেয়ারগুলোতে এর ইফেক্ট পড়বে। যেমন, GBPUSD কমতে পারে, EURGBP বাড়তে পারে ইত্যাদি। কিন্তু সবসময় যে নিউজ এর ইফেক্ট হয় তা কিন্তু নয়, অনেক সময় বিপরীত ইফেক্টও হয়ে থাকে।

 

প্রতিদিন ফরেক্সের অনেক নিউজ, জব রিপোর্ট, স্পিচ প্রকাশিত হয়। এগুলো মার্কেটকে প্রভাবিত করে। তাই অনেকেই এই নিউজগুলো টার্গেট করে ট্রেড করে। কিন্তু আমাদের কি সব নিউজই ট্রেড করা উচিত? সব নিউজের প্রভাব বা ইম্প্যাক্ট সমান নয়। দেখা যাক কি কি ধরনের নিউজ আসে।
ফরেক্সের নিউজের জন্য সবাই প্রধানত FOREXFACTORY.COM অনুসরন করে থাকে। কারন তারা সবচেয়ে ভাল নিউজ প্রকাশ করে থাকে এবং সবার আগে প্রকাশ করে। আপনি সেখানে প্রতিটি নিউজের পাশে ওপরের ৪টি চিহ্নের একটি দেখতে পাবেন। সুতরাং, চিহ্ন দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন ওই নিউজের প্রভাব কি হবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারবেন। হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ দ্বারা বোঝায় যে তা মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব তুলনামূলক কম হয়। লো ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব একেবারেই কম। সাদা চিহ্ন দিয়ে বোঝায় এই নিউজটি ইকোনমিক নিউজ নয়, যেমন- ব্যাংক হলিডে। যেহেতু লাল হাই ইম্প্যাক্ট এবং কমলা মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলো মার্কেটে বেশী প্রভাব ফেলে, তাই আপনি সেগুলো ট্রেড করতে বা সেগুলো মার্কেটে কি রকম প্রভাব তৈরি করতে পারে তা জেনে রাখতে পারেন।


ওপরের ছবিতে দেখুন। ECB President Trichet Speaks এবং Manufacturing Production m/m এই নিউজ ২টি হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ। এগুলো মার্কেটকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। BOJ Monthly Report হল মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজ। Household Confidence এবং Economy Watchers Sentiment হল লো ইম্প্যাক্ট নিউজ, যার প্রভাব মার্কেটে খুব একটা বেশী হবে না।

কোন নিউজ কোন কারেন্সিকে প্রভাবিত করে

প্রতিটি নিউজের সামনে লেখা থাকে নিউজটি কোন কারেন্সির জন্য। যেমনঃ RBA Assist Gov Debelle Speaks নিউজটির রেজাল্ট ভাল বা খারাপ আসলে তা AUD পেয়ারকে প্রভাবিত করবে। আবার French CPI m/m নিউজটির রেজাল্ট EUR পেয়ারকে প্রভাবিত করবে।


টিপস এন্ড ট্রিকস

কাস্টোমাইজড নিউজ
আপনার যদি Forex Factory তে নির্দিষ্ট কিছু নিউজ দেখতে চান তবে ওপরে কর্নার থেকে "Filter" ক্লিক করে আপনার পছন্দমত কনফিগারেশন থিক করে দিতে পারেন।

নিউজ টাইম
Forex Factory এর সাথে হয়তো আপনার কম্পিউটারের সময় মিলছে না। তাই আপনার নিউজ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে এবং কখন নিউজটি পাবলিশ হবে বুঝতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে Forex Factory এর অপরে বামপাশে কর্নার থেকে বর্তমানে সে সময় দেখাচ্ছে তাতে ক্লিক করুন।


পরবর্তী পেইজে Time Zone: GMT +6 সেট করে "Save Changes" ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।


দেখবেন এরপর থেকে বাংলাদেশী সময়ে নিউজ এর সময় দেখাবে।




টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical Analysis)

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে ট্রেডাররা প্রাইসের মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করে।
মুল বিষয় হল একজন ট্রেডার পূর্বের প্রাইস মুভমেন্ট দেখতে পারে, বর্তমানের প্রাইস মুভমেন্ট বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের প্রাইস কেমন হবে সে সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে পারে।

আপনার চার্টে পূর্বের সকল প্রাইসের মুভমেন্ট চার্ট আকারে দেয়া থাকবে। তাই আপনি চাইলেই পূর্বে কি হয়েছিল তা দেখতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, "ইতিহাস বারবার প্রতিফলিত হয়"?

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এমনই। পূর্বে যা ঘটেছিল, আমরা আশা করেতে পারি হয়তো ভবিষ্যতেও তাই ঘটতে পারে। যদি কোন প্রাইস লেভেল পূর্বে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে থাকে, তবে ট্রেডারদের চোখ থাকবে সেই দিকে এবং তারা তার ওপর ভিত্তি করে তাদের ট্রেড করবে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আমরা একই প্যাটার্ন মেলানোর চেষ্টা করি যা পূর্বে ঘটেছিল। এবং যেহেতু তা পূর্বে ঘটেছিল, তাই আমরা আশা করবো এবারও হয়ত আগের মত একই জিনিস ঘটতে পারে।

কেউ যখন টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কথাটি বলে, তখন আমাদের মনে সর্বপ্রথম যে কথাটি আসে তা হল চার্ট। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে চার্ট ব্যবহার করা হয় কারন চার্টের মাধ্যমেই হিস্টোরিকাল ডাটা সবচেয়ে সহজে উপস্থাপন করা যায়।

আপনি ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন বোঝার জন্য চার্টে পূর্বের ডাটাগুলো দেখতে পারেন যা কিনা আপনাকে কিছু ভাল ট্রেডের সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রাইস প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পেতে সাহায্য করতে পারে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বিষয়টা নির্ভর করে আপনি কিভাবে অ্যানালাইসিস করবেন।
জনি এবং রনি হয়তো একই চার্ট এবং ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করবে, কিন্তু তারা হয়তো একই রকম ট্রেডের আইডিয়া পাবে না, ভিন্ন ভিন্ন ট্রেডের আইডিয়া পেতে পারে।

আসল কথা হল আপনাকে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মূল কনসেপ্ট ভালভাবে জানতে হবে। আমাদের ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ড, পিভট পয়েন্ট, মুভিং এভারেজ ইত্যাদির কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।

এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে ফরেক্স ট্রেডাররা অনেক স্মার্ট। তারা ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ডের মত স্মার্ট নাম জানে। যেহুতু আপনি ফরেক্স ট্রেড শুরু করেছেন, তাই হয়তো আপনি ইতিমধ্যে ফেসবুকে আপনার নাম পরিবর্তন করে এখন ফিবোনেসি তানভীর কিংবা বোলিঙ্গার রাহাত রাখার কথা চিন্তা করা শুরু করে দিয়েছেন।

পরবর্তীতে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর, সাপোর্ট-রেসিসটেন্স, পিভট পয়েন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছূ Topic নিচে আলোচনা করা হল:
                                              ১। সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স 
                                              ২।  ট্রেন্ড লাইন
                                              ৩। চ্যানেল 
                                              ৪। পিভট পয়েন্ট


সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স
আপনি যদি সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স বুঝতে পারেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন ফরেক্স মার্কেট কিভাবে কাজ করে।
এই পদ্ধতি আপনাকে সঠিক সময়ে ট্রেড খুলতে এবং ঠিক সময়ে ট্রেড থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে আপনাকে সাহায্য করবে।
বিভিন্নভাবে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল বের করা যায়।

যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও কমে যায় এবং পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
আবার যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও বেড়ে যায় এবং পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে।
তাই সাপোর্ট ব্রেক করলে সেল করা উচিত এবং রেসিসটেন্স ব্রেক করলে বাই করা উচিত।
ছবি পোস্ট করা হয়েছে
উপরের ছবিটি দেখুন। এখানে একটি জিগজ্যাগ প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে।
ধরুন মার্কেট আপট্রেন্ডে রয়েছে। এখানে মার্কেট সর্বোচ্চ বাড়ার পর যে প্রাইসে আবার তা কমে যেতে শুরু করে সেটাই রেসিসটেন্স।
অর্থাৎ, বেড়ে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টটিই হল রেসিসটেন্স লেভেল।
আবার কমে সর্বনিম্ন যত নিচে যায়, সেই পয়েন্টটি হল সাপোর্ট লেভেল।
মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে থাকলেও একইরকম।


সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ


একটি বিষয় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স কখনও কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়। এটি এক ধরনের লেভেল বা এরিয়া।
অনেক সময় চার্ট দেখে মনে হয় যে মার্কেট সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক করেছে কিন্তু কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় যে মার্কেট আসলে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক হয়নি, মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।
ক্যানডেলস্টিক চার্টে এই মার্কেট টেস্টসমূহকে এভাবে দেখান যেতে পারেঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

চার্টটি দেখুন। দেখা যাচ্ছে মার্কেট ২ বার ১.৪৭০০ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করেছে।
কিন্তু মার্কেট সাথে সাথেই আবার ওপরে উঠে গেছে অর্থাৎ সাপোর্ট লেভেল আসলে ভাঙ্গেনি।
মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।

তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সত্যিই ব্রেক হয়েছে?

এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই।
তবে কেউ কেউ বলে প্রাইস যদি আগের লেভেলে ক্লোজ হয় তবেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স ব্রেক হয়েছে বোঝা যায়।
কিন্তু এটা যে সবসময় হয় তা নয়।

নিচের চার্টটি দেখুন। প্রাইস ১.৪৭০০ এর অনেক নিচে গিয়েছে। কিন্তু পরে আবার বেড়ে গিয়েছে।
ছবি পোস্ট করা হয়েছে

কিন্তু সাপোর্টটি আসলে ব্রেক হয়নি। এটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে এবং অনেক শক্তিশালী। এখন যদি আপনি আপনার বাই ট্রেড ক্লোজ করে সেল ট্রেড দিতেন, হয়ত আপনি লসের সম্মুক্ষীণ হতেন।

আপনি যদি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করেন তবে আপনি সহজেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ করতে পারবেন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে

সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য

  • যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে। আবার যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে
  • মার্কেট সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল যত বেশি টেস্ট করে, ঐ সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স তত বেশি শক্তিশালী হয়



ট্রেন্ড লাইন
টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আকে জার ফলে তা কার্যকর হয় না।
ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য মেটা ট্রেডার এর টুলস থেকে ট্রেন্ড লাইন টুল দিয়ে লাইন টানতে হয়।
লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়।
যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে।
নিচের চার্টটি ফলো করুনঃ

ট্রেন্ড ৩ রকমঃ
  • আপট্রেন্ড (higher lows)
  • ডাউনট্রেন্ড (lower high)
  • সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)
আপট্রেন্ডে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না করাই ভাল।

ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ
  • অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
  • সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
  • জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।

চ্যানেল 
আমরা এখানে চ্যানেল আই, বিটিভি কিংবা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা যদি ট্রেন্ড লাইন থিওরিকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড লাইনের সাথে একই দিকে সমান্তরাল ভাবে আরেকটি লাইন আঁকি, তবে একটি চ্যানেল তৈরি হবে।

চ্যানেল হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি টুলস যা বাই বা সেল করার জন্য ভাল প্রাইস নির্ধারণ করতে আমাদের সাহায্য করে।



ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য আপট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক বটম পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

নিম্নমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য ডাউনট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক টপ পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

যখন প্রাইস নিচের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করবে, তখন আপনি বাই করতে পারেন। আর যদি প্রাইস ওপরের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করে তবে আপনি সেল করতে পারেন।

চ্যানেল ৩ প্রকারঃ
  • ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল (higher highs and higher lows)
  • নিম্নমুখী চ্যানেল (lower highers and lower lows)
  • সমান্তরাল বা সাইডওয়ে চ্যানেল (ranging)
চ্যানেল সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ
  • চ্যানেল আঁকার সময়, দুটি ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল হতে হবে।
  • চ্যানেলের নিচের অংশটি বাই জোন এবং ওপরের অংশটি সেল জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • ট্রেন্ড লাইন আঁকার মত চ্যানেল আঁকার সময়েও জোর করে চ্যানেল আঁকার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তা ভুল ট্রেডের নির্দেশনা দিতে পারে।

পিভট পয়েন্ট

পিভট পয়েন্ট কি?

বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।
পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে।

এখানে,
  • PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট)
  • S = Support (সাপোর্ট)
  • R = Resistance (রেসিসট্যান্স)

কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ

পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ
  • High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে
  • Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে
  • Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে
ক্যালকুলেশনঃ


R3 = High + 2 x (PP – Low)
R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1) 
R1 = (PP x 2) – Low 
PP = (High + Low + Close) / 3 
S1 = (PP x 2) – High
S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1) 
S3 = Low – 2 x (High – PP)
আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন।

কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ

ব্রেকআউট ট্রেডিং
ব্রেকআউট হলে আপনি যেভাবে ট্রেড করেন, এখানেও তা ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। প্রাইস যদি পিভট লাইনকে ক্রস করে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়, তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ
সবুজ জায়গাটি বোঝাচ্ছে যে প্রাইস প্রথমে পিভট পয়েন্টের নিচে ছিল এবং সবুজ জায়গা থেকে পিভট লাইন অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠেছে।
যখন পিভট লাইন ভেঙ্গে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে। ব্রেকআউট ট্রেড করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন।

ওপরের চার্টটি দেখুন। ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল ২.০৫৫০ (সবুজ লাইন) প্রাইসে। স্টপ লস সেট করতে হবে ১.০৫৩৫ এ পিভট পয়েন্টের (লাল লাইন) নিচে। আপনার টেক প্রফিট হবে ১.০৫৯৪ এর R1 এর আশেপাশে।

এই ট্রেডটি মাত্র ৪০ পিপসের ছিল। খুব বেশী উত্তেজিত হবার কোন কারন নেই। কারন এগুলো সবসময় কাজ করে না। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অন্য কোন কিছুর সাথে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরেকটু নিশ্চিত হতে পারনে যে আপনি ভুল ট্রেড করতে যাচ্ছেন না।

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং
রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ

যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন।


সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস (Sentimental Analysis)

প্রত্যেক ট্রেডারের কাছে নিজস্ব মতামত বা ব্যাখ্যা থাকে যে কেন মার্কেট এভাবে মুভ করছে। আমি, আপনি কিংবা পিপস শিকারি মার্কেট সম্পর্কে যা অনুভব করি এবং সে অনুসারে পজিশন নেই, তাই পরবর্তীতে নতুন মার্কেট সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। সব ট্রেডারদের ট্রেড মার্কেটে প্রতিফলিত হয়।

তাই আপনি একা যদি কোন ট্রেড সম্পর্কে কিছুই অনুভব করে থাকেন না কেন যে মার্কেট সেইদিকে যাবে, আপনি কখনোই মার্কেটকে আপনার পক্ষে মুভ করাতে পারবেন না। এমনকি আপনার যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে ডলারের দাম বাড়বে, কিন্তু সবাই যদি বিয়ারিশ (সেল) মুডে থাকে, সেখানে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।

এটা আপনার ওপর নির্ভর করে আপনি কিভাবে মার্কেট সেন্টিমেন্ট বুঝবেন, এটা বুল্লিশ না বিয়ারিশ। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে আরও আলোচনা করা হবে। এটা আপনার ওপরই নির্ভর করে যে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজিতে মার্কেট সেন্টিমেন্টকে যুক্ত করবেন কিনা।

আপনি যদি মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উপেক্ষা করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু তা আপনার জন্য শুধু লসই বয়ে আনবে।